শাহ্ ফুজায়েল আহমদ
নির্বাহী সম্পাদক
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে এগিয়ে চলছে জগন্নাথপুরবাসীর স্বপ্নের দৃষ্টিনন্দন সেতুর নির্মাণ কাজ। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) শুরু ও শেষ হয় স্ল্যাবের ঢালাই কাজ। এর আগে সেতুর গার্ডারের ঢালাই সম্পন্ন হয়। পরে আর্চের কাজ ও লাইটিং, ল্যাম্পপোস্ট এবং বিদ্যুৎ সঞ্চালনের লাইন স্থাপন করা হবে। তার পরেই সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য উপযোগী হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, ‘ চলতি ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত আর্চ সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৮০ শতাংশ। সেতুর দিয়ে চলাচলের জন্য মূল ঢালায়ের কাজ বৃহস্পতিবার রাতের শেষ হবে । এ কাজ হয়ে গেলে সেতুর আর তেমন কোন বড় কাজ থাকবে না। আশা করছি চলতি বছরের এপ্রিলের শেষে অথবা মে মাসের শুরুতে সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবারে জগন্নাথপুর খাদ্য গুদাম সংলগ্ন স্থানে দেখা যায়, নলজুর নদীর ওপর নির্মাণাধীন আর্চ সেতুর স্ল্যাবের ঢালাইয়ের কাজ চলতে। সকাল ৯টা থেকে এ কাজ শুরু হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুরের কর্মকর্তারা এবং সাংবাদিক বৃন্দ। দুপুরে সেতুর ঢালাই কাজ পরিদর্শন করেন জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বরকত উল্লাহ ,
জানা যায়, ২০২৩ সালের মার্চে রাজধানীর হাতির ঝিলের আদলে জগন্নাথপুর পৌরশহর দিয়ে প্রবাহিত নলজুর নদীর ওপর দৃষ্টিনন্দন আর্চ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ ব্যয় ধরা হয় ১৩ কোটি ৪২ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা। ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১১.২৫ মিটার প্রস্থের এলজিইডি’র সবচেয়ে বড় স্থাপনা। এর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কিশোরগঞ্জের ভাটি বাংলা এন্টারপ্রাইজ। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনীতি পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেকে অনুমোদন পায়।
আর্চ সেতু নির্মাণে বিলম্ব হওয়ায় জরাজীর্ণ ডাকবাংলো সেতু ও ঝুঁকিপূর্ণ ডাইভারশন সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। ঝুঁকি এড়াতে সেতুর ওপর একসঙ্গে উভয়মুখী যান চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে মাসের পর মাস ভোগান্তিতে উপজেলার লাখো মানুষ। ভারি যানবাহনের চাপে ক্ষতিগ্রস্থ ডাকবাংলো সেতু ভয়াবহ ঝুঁকিতে। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে উপজেলা প্রশাসন নির্মাণাধীন আর্চ সেতুর পাশে একটি বাঁশের সেতু নির্মাণ করে। কিন্তু উপজেলাবাসীর দুর্ভোগ কমছে না।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন বলেন, চলতি ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত আর্চ সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৮০ শতাংশ। আশা করছি চলতি বছরের এপ্রিলের শেষে অথবা মে মাসের শুরুতে সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
Leave a Reply