জুলাই বিপ্লব২৪ ডেস্ক:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে রাজনৈতিক মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ইসমাইল চক গ্রামের আসামীর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার: জুবায়ের আহমেদ জুনু (৪০) চিলাউড়া ইউনিয়নের ইসমাইল চক গ্রামের ছন্দু মিয়ার ছেলে। তিনি ৫নং চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন এর ৬নং ওয়ার্ড শাখার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এছাড়া ইসমাইল চক উত্তরপাড়া জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী ছিলেন।মোতাওয়াল্লী থাকা অবস্থায় মসজিদের জমি দখল এবং মসজিদের জমি নিজ নামে রেজিষ্ট্রেশন সহ এই মহল্লার দেশী বিদেশী ব্যক্তিদের কাছ থেকে দেয়াল নির্মাণ ও মসজিদের উন্নয়নের নামে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মতো অর্থ সংগ্রহ করে।এছাড়াও মসজিদের তহবিলে ২ লক্ষের ও অধিক টাকা ছিল যা সে নিজ স্বার্থে ব্যবহার ও আত্মসাৎ করে।মসজিদের কমিটির অন্য সদস্যরা সহ মহল্লার সর্বস্তরের মানুষ তার কাছে হিসাব চাহিলে নানা তালবাহানা সহ সাধারণ মানুষকে মামলা,হামলা,হয়রানি সহ হত্যার হুমকি দেয়।এছাড়াও তার সহযোগীরা সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়াসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া আসতেছিল।মহল্লার মানুষ অতিষ্ট হইয়া মসজিদের নতুন কমিটি গঠন করতে বাধ্য হয়। এবং উল্লেখিত সমস্যার প্রতিকারের জন্য নতুন কমিটির সেক্রেটারি ময়না মিয়া বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন।এছাড়াও চাঞ্চল্যকর বাউধরণ মনির হত্যার মামলার অন্যতম আসামী ছিল সে।তারই সাথে ইসমাইল চক গ্রামের নাদিয়ার এসিড নিক্ষেপের মামলার প্রধানতম আসামী ছিল সে।বিগত সরকার ও আওয়ামী লীগের প্রভাব কাটিয়ে মনির হত্যার ও নাদিয়ার মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি নেয়।স্থানীয় মানুষের সাথে তার আচরণ ছিল আতংক জনক।এছাড়াও স্থানীয় জলমহাল দখল,ভূমি দখল,চাঁদাবাজি,অবিচার, জুলুম নির্যাতন সহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা তার দ্বারা সংঘটিত হয়নি।এছাড়া ও তার কিছু সহযোগী যারা হত্যা,ডাকাতি,লুটপাত ও চুরির মামলার সাথে জরিত যার মধ্যে অন্যতম আইত্ব উদ্দিন,আফসর উদ্দিন,নোমান আহমেদ,সেফুল মিয়া,আলী হোসেন,মুরসালিন,মিজান আহমেদ,আবু মিয়া সহ আরো অনেকে দেশীয় অস্ত্র সহ প্রকাশ্যে মহরা চালিয়ে যাচ্চে।স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় সে দালালি ব্যবসার সাথে ও জরিত আছে।মানুষকে বিদেশ পাঠানোর নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বাড়িতে আত্নগোপনে ছিল।এলাকার মানুষ ভয়ে মুখ খুলতেছিলনা।গ্রেফতারের পরে এখন সবাই মুখ খোলা শুরু করেছে।
এই দুঃসাহসিক ডেভিলহান্ট গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন জগ্ননাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) জনাব জয়নাল হোসেন সহ একটি বিশেষ টিম।এবং চরম দুষ্কৃতিকারী ও দাগি অপরাধী জুবায়ের আহমেদ জুনু (৪০) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।জুবায়ের আহমেদ জুনুর গ্রেফতারে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি নেমে এলো এবং এলাকা বাসী তার অপরাধ কর্মের সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
Leave a Reply